কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের একমাত্র জেলা পিকনিক স্পট টুপামারী পুকুর। শুধু উলিপুর উপজেলা নয়, ৯টি উপজেলার মধ্যে এটি জেলার অন্যতম বড় পিকনিক স্পট। কুড়িগ্রাম জেলা থেকে মাত্র ১০ কিমি এবং উলিপুর উপজেলা থেকে ১০ কিমি দূরে কেসি রোডের পূর্ব পাশে একটি মনোরম এলাকায়। যে ব্যক্তি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই স্থানটিকে পুকুরে পরিণত করেছে সে বর্তমানে মারাত্মক রোগে দিনাতিপাত যাচ্ছে। তার নাম মোঃ গেলাপ উদ্দিন, জেলাপ চেয়ারম্যান নামেও পরিচিত। টুপামারী পুকুরের জন্ম ১৯৮০ সালে। ১৯৮১ সালে খনন কাজ শেষ হওয়ার পর, ২৫ একর জমির একটি বড় পুকুরে মাছ ও কচ্চপ চাষ সহ বিভিন্ন ধরণের চারা জন্মাতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পুকুর পাড়ে গড়ে উঠেছে আধুনিক পিকনিক স্পট। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পিকনিক করে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে। এনজিওর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীও যোগ দিয়েছেন।
উলিপুর উপজেলা বিএডিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আর্থিক সহযোগিতায় উক্ত টুপামারী পুকুরটি গড়ে উঠেছে। বিএডিবি অফিস সহকারী মোঃ জাহিদুল হক বলেন, আমরা প্রতি ৬ মাস অন্তর পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের প্রজনন করি। ওই পুকুর থেকে প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মাছ ও ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি করি এবং উল্লিখিত পুকুরের বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৪৩ হাজার টাকা আয় করি। তিনি আরও বলেন, পিকনিক এলাকা সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তর থেকে বহুবার আর্থিক সহায়তার আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এ বছর পর্যটন মন্ত্রীর একটি গবেষণা দল থাকবে। আমরা আশা করি এবারও মাননীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাব। তিনি বলেন, উল্লিখিত পিকনিক এলাকায় আমাদের মোট ৫ জন কর্মচারী রয়েছে।
পিকনিকে আসা দর্শনার্থী লাঞ্জু আহমেদ বলেন, পিকনিক এলাকাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। স্থানটি সংস্কারের ফলে দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
স্থান:
কুড়িগ্রাম জেলা থেকে মাত্র ১০ কিমি এবং উলিপুর উপজেলা থেকে ১০ কিমি দূরে কেসি রোডের পূর্ব পাশে একটি মনোরম এলাকায় টুপামারী পুকুর অবস্থিত ।