লালমনির হাট থেকে ১১ কি.মি. দূরে মোগলহাট বিডিআর ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত ধরলা ব্রিজ । তবে সেই জিরো পয়েন্ট থেকে একটু এগিয়ে ব্রিজটি দেখা ভালো। ধরলার রেলসেতুটি অনেক পুরনো। ভারতীয় অংশে পড়ে। পাশেই কুড়িগ্রাম জেলা। লোকেদের কাছে শুনেছি, ১০/১২ বছর আগেও এই পথ দিয়ে ভারত থেকে পণ্য পরিবহন করা হতো। সেই মুহূর্ত থেকেই ধরলা পাড় ভাঙতে শুরু করে। সেতুর গোড়া থেকে এটি সেতুর প্রায় সমান্তরাল সম্প্রসারণ করে বাংলাদেশের দিকে চলে গেছে। একটু এগোতেই ধরলা নদী হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। গ্রামের পর গ্রাম লালমনির ঘাসের নিচে পড়ে আছে ধরলা। প্রমত্ত ধরলা এখন তিস্তার চেয়েও লম্বা।
এই অংশটি বাংলাদেশে। সেখান থেকে সেতুটি স্পষ্ট দেখা যায়। এক গ্রামবাসীর সহায়তায় আমি প্রায় নদীতীরবর্তী সেতুর কাছে পৌঁছে গেলাম। নদীর ওপারে কয়েকটি বাড়ি ভারতীয় অংশে পড়েছে। বাজারে সবকিছু এখানে আছে. তাদের এখানে আসতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু বিএসএফ আমাদের কাউকে সেখানে যেতে দেয় না। এমনকি ছোট মেয়েদেরও আটক করে।