মৌলভীবাজার জেলা অর্থাৎ সিলেট অঞ্চল অনেক আগে থেকেই পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত। রামায়ণ এবং মহাভারতের মতো উল্লেখযোগ্য মহাকাব্যগুলিতে এই অঞ্চলের উল্লেখ রয়েছে। মৌলভীবাজার অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ বাদ দিলে এটি কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল বলে ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে যে, শাহ মোস্তফার বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতুল্লাহ ১৮১০ সালে মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকান স্থাপন করেন এবং ভোজ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ তৈরি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এই নৌ ও স্থলপথে বাজারে প্রতিদিনই লোকসংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মৌলভীবাজারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে।
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ প্রতিষ্ঠিত বাজারকে কেন্দ্র করে ২৬টি পরগনা নিয়ে দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এই মহকুমার নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণ শ্রীহট্ট বা দক্ষিণ সিলেটের পরিবর্তে মৌলভীবাজার করা হয়। মৌলভীবাজার জেলা ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
মুঘল আমলে বর্তমান মৌলভীবাজার অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। মুঘল সম্রাট আকবরের সময় এক যুদ্ধে ইটা রাজ্যের রাজা সুবিদ নারায়ণের মৃত্যুর হয়। এরপর ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ইটা রাজ্যের জমি পাঠান বীর খাজা ওসমানের দখলে করে । ১৬১২ সালে সিলেটের শাসক ইসলাম খানের আক্রমণের আগ পর্যন্ত খাজা ওসমান ইটা রাজ্যের একমাত্র শাসক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মৌলভীবাজার ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি আর দত্ত। মৌলভীবাজার সদরের ঝাড়োয়া গ্রামের গণহত্যা, নদীয়া গ্রামে গণহত্যা, রাজনগর পাঁচগাঁও গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার কসাইখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড এখনো মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।
এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চাইলে এই লিংকে দেখতে পারেন।
আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন তাহলে আধুনিক স্থাপত্য, ঐতিহাসিক স্থান, নদী ও সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি অঞ্চল, বাগান ও বনাঞ্চল, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি ভ্রমণ স্থানগুলো নিচের লিংক হতে পাবেন।
আপনি রাজশাহী বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।