জিয়া পার্ক – রাজশাহী

২০০৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে, পার্কটি পরীক্ষামূলকভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২৫ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে  সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া  পার্কটির উদ্বোধন করেন।

শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি টাকার বেশি। পার্কটিতে ১২.২১ একর এলাকা জুড়ে ১৯ টি আইটেমের ৭০ টি গেম রয়েছে। আইটেমগুলির মধ্যে রয়েছে মিনি রেলকার, মনোরেল স্কাই বাইক, ফ্লাম রাইডস, মেরি গো রাউন্ড, অক্টোপাস, সুপার সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, কিডি রাইডস, হর্স রাইড সুইং, ফিজিওলজিক্যাল গেমস, থ্রিডি সিনেমা, প্যাডেল বোট, বাউন্সি ক্যাসেল, হর্স রাইড, প্যারাট্রুপার , চায়ের কাপ এবং ব্যাটারি গাড়ি।

লেকের মাঝখানে কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করা হয়েছে যা পার্কের সৌন্দর্য অনেকগুন বৃদ্ধি করেছে। পাহাড়ের ওপর দিয়ে যাওয়ার জন্য মিনি রেলগাড়ির দুপাশে দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দোতলা ভবনের অফিসে একটি সুন্দর প্রবেশদ্বার রয়েছে । এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে। সীমানা প্রাচীরটি বিভিন্ন প্রাণী এবং শিল্পকর্ম দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। পার্কের বিভিন্ন স্থানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট এবং দুটি আলাদা চেঞ্জিং রুম রয়েছে। টিকিটের জন্য প্রতিটি পাশে তিনটি কাউন্টার রয়েছে। পার্কের প্রস্থান গেটটি একটি অক্টোপাসের মতো।

যেখানে অবস্থিত:

শহীদ জিয়া শিশু পার্ক রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। শিশু পার্কটি রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্থিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *