হাছন রাজার মিউজিয়াম – সুনামগঞ্জ

হাছন রাজার মিউজিয়াম সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।রহস্যময় সাধক হাসন রাজার গান এক অমূল্য ধন ধারণ করে। তার জীবনও ছিল রঙিন। হাসন রাজার স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করার জন্য তার পরিবার একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভা এলাকার তেঘরিয়ায় সুরমা নদীর তীরে হাসন রাজার স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিতে এই জাদুঘরটি (হাসন রাজার জাদুঘর) অবস্থিত।

হাসন রাজা (জন্ম ১৮৫৪ মৃত্যু ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি একজন সম্ভ্রান্ত জমিদার ছিলেন। তবে গানের প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ। রহস্যময় সাধক হাসন রাজা অগণিত গান রচনা করেছেন এবং আজ অবধি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। জাদুঘরে কালো পোশাকধারী সাধুর লেখা কুর্তা, পাগড়ি, খরম, তলোয়ার, প্লেট, ঢাল, বই এবং কবিতা ও গানের পাণ্ডুলিপি এখনও দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করে। মরমী কবিরের লেখা গানে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি চিঠির মাধ্যমে হাসন রাজাকে অভিনন্দন ও প্রশংসা করেছেন। সুনামগঞ্জের গাজীর দরগায় তার প্রিয় মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত রহস্যময় কবি হাসন রাজা। জাদুঘরে প্রতিদিন অনেক মানুষের সমাগম হয়। পথিকরা হাছন রাজাকে দেখেন নিজের মতো করে।

২০০৬ সালে, এই জাদুঘরটি রাজাদের পারিবারিক উদ্যোগে শহরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের জালালপাড়ের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়।

যারা কবি হাসন রাজা এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে আগ্রহী তাদের জন্য এই জাদুঘর। হাসন রাজা ও তার আত্মীয়দের ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিসপত্র রয়েছে। হাসন রাজাকে নিয়ে বই ও ক্লিপিংসের সংগ্রহ রয়েছে।

হাছন রাজার মিউজিয়াম বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাসন রাজাকে ঘিরে রাজপরিবারের স্মৃতি রক্ষা করাই এই জাদুঘরের উদ্দেশ্য। জাদুঘরটি লোক সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করে।

জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, প্রতিদিন গড়ে অর্ধশতাধিক দর্শনার্থী জাদুঘরে আসেন। এছাড়া শুক্র ও শনিবার সিলেট যখন পর্যটকে মুখরিত থাকে তখন হাসন রাজার কাজ ও জীবন সম্পর্কে জানতে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী জাদুঘরে আসেন। জাদুঘরে হাছন রাজার ব্যবহৃত অনেক পুরনো বই ও উপকরণ থাকায় অনেক গবেষকও এখানে নিয়মিত কাজ করতে আসেন।

অবস্থানঃ

এই জাদুঘরটি সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া পৌরসভা এলাকায় সুরমা নদীর তীরে হাসন রাজার বাড়িতে অবস্থিত।

এই বিষয়ে আরও তথ্য  জানতে  চাইলে এই লিংকে দেখতে পারেন।

আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন তাহলে আধুনিক স্থাপত্য, ঐতিহাসিক স্থান, নদী ও সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি অঞ্চল, বাগান ও বনাঞ্চল, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি ভ্রমণ স্থানগুলো নিচের লিংক হতে পাবেন।

আপনি রংপুর বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *