চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে অবস্থিত নোয়া বুরুজ প্রাচীন পুরাকীর্তি ও লুকিয়ে থাকা ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি স্থান। দেখতে বড় পাহাড়ের মতো। স্থানীয়ভাবে এটি শরবুরুজ নামেও পরিচিত।
রাজা লক্ষণ সেনের শাসনামলে রহনপুর বাণিজ্য নগরী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাণিজ্যিক কারণে তিনি রহনপুরে সুন্দর ভবন নির্মাণ করেন যার মধ্যে মসজিদটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শানবুরুজ নামে পরিচিত এই বিলুপ্ত ভবনটির প্রকৃত নাম শাহবুরুজ। শাহ শব্দের অর্থ রাজা এবং বুরুজ শব্দের অর্থ একটি ভবন বা দুর্গ যা পরবর্তীতে ষাঁড়বুরুজ টাওয়ার নামে পরিচিতি লাভ করে।
বাংলা বিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী এই পথে বাংলায় আগমন করেন এবং কিছুকাল এই স্থানে অবস্থান করেন। এসব স্থাপনার এলাকা সংলগ্ন ঐতিহাসিক নদীয়া এলাকা। যিনি পরবর্তীতে নওদা নামে পরিচিতি লাভ করেন। বখতিয়ার খলজির আগমনের সংবাদে রাজা লক্ষণ সেন এই স্থান থেকে নদীর ধারে পালিয়ে যান। সেই থেকে এটি নওদা বুরোজ নামেও পরিচিত।
রহনপুর নওদা বুরুজের চার পাশেই নয়, পুরো রহনপুর এলাকা জুড়েই রয়েছে প্রাচীনত্ব ও নগরীর নিদর্শন। কোনো কোনো ঐতিহাসিক রহনপুরে প্রাক-মুসলিম যুগে একটি উন্নত শহরের অবস্থান উল্লেখ করেছেন।
কিভাবে যাবেন
চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রহনপুরের বিখ্যাত বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পুনর্ভবা একটি ছোট বা শুকনো নদী যা পাশ দিয়ে বয়ে যায়। মহানন্দা ও পুনর্ভবার মিলনস্থলের কাছে নোয়া বুরোজ। রহনপুর রেলস্টেশন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার উত্তরে বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড় চোখে পড়ে। এটি গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে নওদা নামক স্থানে অবস্থিত।