যমুনা সেতু পাড় – সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। তাঁতশিল্প এই জেলাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতুপার) ও সিরাজগঞ্জ শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের অত্যাশ্চর্য সৌন্দর্য জেলাকে পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে সুনাম এনে দিয়েছে। এ ছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ইকোপার্ক, রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, মিল্কভিটা,এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,  বাঘাবাড়ি বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার জেনারেশন সেন্টার, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর ইত্যাদি এ জেলাকে সমৃদ্ধ করেছে।

যমুনা ভূমুখী সেতু, বা যমুনা সেতু, বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপর বিস্তৃত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। নির্মাণ কাজ ১৯৯৮ সালে সম্পন্ন হয়। এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরে ভূয়াপুর  এবং পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করেছে। এটি বিশ্বের ১১তম দীর্ঘতম সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। যমুনা বাংলাদেশের তিনটি প্রধান নদীর মধ্যে বৃহত্তম এবং জলের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম। সেতুটি বাংলাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে একটি কৌশলগত সংযোগ তৈরি করে। এটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ মালবাহী এবং যাত্রী পরিবহনের গতি বাড়িয়েছে। সেতুটিকে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সেতু বলা হয়। যমুনা সেতু নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৪৯ সালে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম এই উদ্যোগ নেন। কিন্তু তখন এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কাজ শুরু হয়েছিল ১৫ অক্টোবর, ১১৯৪ সালে এবং ২৩ জুন, ১৯৯৮ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

হুন্দাই ১৯৯৬ সালে ৬৯৬ মিলিয়ন ইউএস ডলারে যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে, $২০০ মিলিয়ন IDA, ADB, OECD দ্বারা শুধুমাত্র ১% সুদে বহন করা হয় এবং অবশিষ্ট $৯৬ মিলিয়ন বাংলাদেশ সরকার বহন করে।

কিভাবে যাবেন:

যমুনা সেতু সিরাজগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *