মাগুরা জেলা মুঘল আমলে মাগুরার উল্লেখ করা হয়েছে। কীভাবে এটির নাম হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। জনশ্রুতি আছে যে, সুন্দরবনের নিকটবর্তী এই অঞ্চলে এক সময় মগ জল দস্যুদের উৎপাত ছিল।
তাদের আখড়া ছিল বর্তমান মাগুরা শহরে কুমার ও নবগঙ্গার তীরে। তারা নদীপথে বর্গিদের মতো দস্যুতা করত। তাদের নামেই মগরা থেকে বিবর্তিত হয়েছে মাগুরা। মাগুরা।নামে নদীও আছে। বাংলাদেশে মাগুরা নামে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে কিন্তু আমাদের মাগুরা এখন শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার কারণ এটি একটি জেলার মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।
তবে কিছু ঐতিহাসিকের মতে, মুঘল নবাব মুর্শিদকুলি খার শাসনামলে যে স্থানটিতে মগদের পদযাত্রার বিরোধিতা করা হয়েছিল তাকে মগ-ঘুরা বলা হত। মগ-ঘুরাই পরে মাগুরা হয়।
মাগুরা জেলা ও যশোর জেলা ফরিদপুর এলাকা আজও মাগুরা দস্যুদের ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক অধ্যায় । ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে এই প্রচলিত ছড়াটিও সেই সময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।
মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায় এবং যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য মগ-বর্গীকে দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। কথিত আছে, এই দুই রাজা দস্যুদের প্রতিরোধ ও পরাজিত করেছিলেন। অনেক মুগ বর্গি সীতারামের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং সেনাবাহিনী ও রাজকীয় সেবক হিসেবে নিয়োগ পায়। আজকের মাগুরা শহরেও তাদের অবস্থান ছিল।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মাগুরা জেলা। মাগুরা জেলার মানচিত্র থেকে এই জেলার চারপাশে কোন কোন জেলা রয়েছে দেখতে পারেন। এ জেলার পূর্বে রাজবাড়ী উত্তরে রাজবাড়ী জেলা ও ফরিদপুর জেলা, পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা এবং দক্ষিণে নড়াইল ও যশোর জেলা দ্বারা বেষ্টিত।
এই জেলা সর্ম্পকে আরও জানতে চাইলে এই লিংকে দেখতে পারেন।
আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন তাহলে আধুনিক স্থাপত্য, ঐতিহাসিক স্থান, নদী ও সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি অঞ্চল, বাগান ও বনাঞ্চল, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি ভ্রমণ স্থানগুলো নিচের লিংক হতে পাবেন।
আপনি রাজশাহী বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি রংপুর বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি খুলনা বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি সিলেট বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি ময়মনসিংহ বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি চট্টগ্রাম বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি ঢাকা বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।
আপনি বরিশাল বিভাগ ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারেন।