মংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এটি দেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। এটি খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বন্দরটি ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সেলাবুনিয়া মৌজায় পশুর নদী ও মংলা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগর থেকে ১০০কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এবং প্রধান অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর এবং খুলনার রেলওয়ে টার্মিনালের সাথে সংযুক্ত।
যদিও এটি একটি ছোট বন্দর, তবুও প্রায় দুই ডজন সমুদ্রগামী জাহাজ মাঝে মাঝে মংলা হারবারে নোঙর করতে দেখা যায়। বন্দরটি প্রায়ই পরে বন্ধ হয়ে যায়, বিশেষ করে ১৯৮০ সাল থেকে, নৌযান গভীরতা হ্রাসের কারণে, এবং বারবার ড্রেজিংয়ের পরে জাহাজের জন্য নোঙর রাখার জন্য পুনরায় খোলা হয়েছিল। বর্তমানে এ বন্দরে প্রতি বছর প্রায় ৪০০টি জাহাজ নোঙর করে এবং বন্দর দিয়ে গড়ে ৩ মিলিয়ন টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বন্দরে ১১টি জেটি, লোড-আনলোডের জন্য ৭টি শেড এবং ৮টি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। নদীর গভীরে ১২টি ঝুলন্ত বা ভাসমান নোঙর রয়েছে। হিরণ পয়েন্টে নাবিকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করেছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মংলা বন্দরের সাথে বিশ্বের প্রায় সকল প্রধান বন্দরের সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ রয়েছে। তবে বিশেষ করে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার জাহাজগুলো এই বন্দরে নোঙর করে। আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকা থেকেও জাহাজ আসে। দেশের আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি মংলা বন্দরকে ঘিরে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভারত ও নেপালের সঙ্গে সরকারি চুক্তির মাধ্যমে এ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানকে মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিলে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। এ সমস্যাকে সামনে রেখে বন্দরের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে এবং এ বন্দরের কার্যক্রম বাড়বে।
অবস্থানঃ
এটি খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বন্দরটি ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সেলাবুনিয়া মৌজায় পশুর নদী ও মংলা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।