লালন আখড়া কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় অবস্থিত। বাউল সম্রাট লালনকে ছেঁউড়িয়ার মাটিতে সমাহিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর শিষ্যরা এখানে একটি মাজার ফকির লালন সাঁইজির মাজার বা স্থানীয় ভাষায় লালন আখড়া নির্মাণ করেন। বিশাল গম্বুজে তাঁর সমাধির চারপাশে তাঁর শিষ্যদের সমাধির সারি রয়েছে। এই মাজারটি বাউলদের তীর্থস্থান।
মাজার থেকে কিছু দূরে একটি গেট রয়েছে। এই গেট দিয়ে আপনাকে মাজারে প্রবেশ করতে হবে। প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তদের সাথে হাজার হাজার পর্যটক বাউল সম্রাট দেখতে আসেন। মাজারের পাশেই লালন জাদুঘর। একটি লালন দরজা, লালনের আসনের পাত্র, ভক্তদের ঘড়ি এবং বেশ কিছু দুর্লভ ছবি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য ২ টাকা। মাজার থেকে বের হয়ে সামনে গেলেই চোখে পড়বে লালনের আবক্ষ মূর্তি।
কোথায় থাকবেন?
আপনি শহরে থাকার জন্য অনেক মানের হোটেল পাবেন। এর মধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম।
যেখানে খাবেন:
খাওয়ার জন্য অনেক রেস্টুরেন্ট আছে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, শিল্পী হোটেল, শফি মাউবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন।
কিভাবে যাবেন:
হানিফ, এসবি, শ্যামলী, খালেক, সোহাগ, পরিবহনের বাসগুলো ঢাকার গাবতলী বা টেকনিক্যাল জংশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যায়। এছাড়াও ঢাকা-কুমারখালী থেকে সরাসরি অনেক বাস চলে।কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে চিত্রা যাওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কুষ্টিয়ার কাছে পোড়াদহ ট্রেন স্টেশনে নেমে বাস বা অটোরিকশায় করে শহরে যেতে হবে। কুষ্টিয়া শহর থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় লালন শাহের মাজারে যাওয়া যায়।