প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, দিনাজপুর নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। দামোদরপুরের পাঁচটি গুপ্ত তাম্র, একটি বৈগ্রামের কুমারগুপ্তের রাজত্বকালের একটি এবং বেলোয়ার প্রথম মহিপাল এবং তৃতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালের দুটি তাম্র থেকে দেখা যায় যে গুপ্ত যুগ থেকে মহিপাল প্রথম, কোটিবর্ষ ও পঞ্চনগরীর রাজত্বকাল পর্যন্ত পুন্ড্রবর্ধনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত ছিল । দুটি বিষয় উল্লেখ করা হলো। কোটিবর্ষের বিষয়বস্তু ছিল ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার কাছে বানগড় বা কোটিবর্ষ নামে একটি স্থান। বিষয়টি মূলত জেলার জাতীয় প্রশাসনিক অবকাঠামোকে বোঝায়।
পঞ্চনগরী ইস্যু কোথায় ছিল তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। গ্রীক ইতিহাসে বর্ণিত পেন্টাপোলিস এবং গুপ্ত ও পালাউ যুগের বিভিন্ন তাম্রপত্রে উল্লেখিত পঞ্চনগরী যে অভিন্ন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মহীপাল প্রথমের রাজত্বের কিছু পরেই পঞ্চনগরীর পতনের প্রমাণ রয়েছে মহীপাল প্রথম এবং বিগ্রহ পাল তৃতীয়ের বেলওয়া তাম্রশাসন দ্বারা। বাঙ্গার শিলালিপি এবং দামোদরপুর শিলালিপি থেকে জানা যায় যে কোটিবর্ষ বিষয়ের পূর্ব সীমা ছিল সম্ভবত ফুলবাড়ী থানার পূর্ব দিকে প্রবাহিত করতোয়া নদী এবং বিরামপুরের উত্তরে যমুনার সাথে মিলিত কর্তোয়া নদী সম্ভবত ফুলবাড়ী-বিরামপুর অঞ্চলে কোটিবর্ষ বিষয়ের দক্ষিণতম সীমানা দিয়েছে। এরপর যমুনা নদী ছিল ক্রোটিবর্ষ বিষয়ের পূর্ব সীমানা। দামোদরপুর তাম্রশাসনের চণ্ডীগ্রাম সম্ভবত বর্তমানের চণ্ডীপুর।